নাটোর বনবেলঘড়িয়া পশ্চিম বাইপাস এলাকা থেকে ছিনতাইকারী মামুনকে বোরকা পরা চাকু ও লোহার রডসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ছিনতাইয়ের সাহায্যকারী রনি হোসেন নামের এক যুবক পুলিশের উপস্থিতিতে টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত মামুন আলী বনবেলঘরিয়া বাইপাস এলাকার মৃত বাহার আলীর ছেলে। বোরকা পরে নারী সেজে কাউকে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করা তাদের পেশা। পুলিশ জানায়, মামুনের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় ছিনতাই ও চুরির চারটি মামলা রয়েছে।
নাটোর সদর থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, বুধবার রাত ২টার সময় তাঁর নেতৃত্বে পুলিশের রাত্রীকালীন একটি টহল টিম নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের মহিলা কলেজ গেইট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় কলেজের সামনে নির্জন রাস্তায় বোরকা পরিহিত এক নারীকে একজন মোটরসাইকেল আরোহীর সাথে দাড়িয়ে থাকতে দেখে কাছে যান। তারা কোথায় যাবেন জানতে চাইলে পুলিশ দেখে মোটরসাইকেল চালক দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন বোরকায় মুখ ঢাকা ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কন্ঠস্বর শুনে পুলিশের সন্দেহ হয়। তখন বোরকার মুখ খুলতে বললে তিনি তর্ক শুরু করেন। হঠাৎ পায়ের জুতা দেখে পুলিশ বুঝতে পারে তিনি নারী নন পুরুষ। তখন পুলিশ বোরকার মুখ খুলে দেখেন বোরকা পড়ে আছেন একজন পুরুষ। এসময় তার শরীর তল্লাশি করে একটি ধারালো চাকু ও রডের পাইপ উদ্ধার করা হয়। তাকে আটক করে থানায় এনে জানা যায় তার নাম মামুন ও তার সাথে থাকা ছিনতাইয়ে সহায়তাকারীর নাম রনি।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাছিম আহম্মেদ বলেন, মামুনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগাওে প্রেরন করা হয়েছে। তিনি বলেন, নারী রুপী মামুনের ডাকে যারাই সাড়া দিতেন তারাই বিপদে পড়েছেন। অভিনব এ ছিনতাইকাজে জড়িত পুরো চক্রকে ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট