জেলা প্রতিনিধি |
ভারতের স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগানো সেই কচ্ছপ এখন করমজলে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগানো কচ্ছপটি পটুয়াখালীর পায়রা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ে
ভারতের গবেষণা কাজে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগিয়ে ছেড়ে দেওয়া মহাবিপন্ন প্রজাতির আরও একটি বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপ বাংলাদেশে উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৬ মার্চ) সকালে পটুয়াখালীর পায়রা নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের জালে কচ্ছপটি ধরা পড়ে। বিকেলে কচ্ছপটি বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদাপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেদ্রে নিয়ে আসা হয়।
বিজ্ঞাপন
এরআগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার কাজীরহাট এলাকায় স্থানীয় এক জেলের জালে আটকা পড়ে ভারতীয় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগানো একটি বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপ।
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘শনিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় পাথরঘাটার পায়রা নদীতে জেলেদের জালে কচ্ছপটি ধরা পড়ে। খবর পেয়ে পটুয়াখালী বন বিভাগের বনরক্ষীরা কচ্ছপটি জেলেদের কাছ থেকে আজ সকালে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। বিকেলে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগানো কচ্ছপটি সুন্দরবন বিভাগের চাঁদাপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেদ্রে নিয়ে আসা হয়।’
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের এই কর্মকতা আরও বলেন, ‘মহাবিপন্ন প্রজাতির এ বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপের গতি ও আচরণবিধি, বিচরণ ক্ষেত্র, খাদ্যাভাস এবং প্রজনন সম্পর্কে জানতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সজনেখালী এলাকার কুলতলীতে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো ১০টি পুরুষ কচ্ছপ অবমুক্ত করে সেদেশের টাইগার প্রজেক্টে ও প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ। এরমধ্যে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগানো দুটি বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপ জলপথে আমাদের দেশে ঢুকে পড়ার বিষয়টি জানায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।’
বিজ্ঞাপন
‘এর ১১ দিনের মাথায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সাগর-নদী হয়ে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাটে জেরেদের জালে প্রথম ধরা পড়ে ভারতের স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগানো একটি বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপ। তখন ভারতের স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগানো অপর বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপটি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন-সংলগ্ন বলেশ্বর নদীতে বিচরণ করছিল বলে সিগন্যাল পাওয়া যায়।’
jagonews24
সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের বাটাগুরবাস্কা প্রকল্পের স্টেশন ম্যানেজার আ. রব জানান, এক সময়ে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারে বাটাগুরবাস্কা প্রজাতির কচ্ছপের অস্তিত্ব ছিল। এখন যা মহাবিপন্ন শ্রেণিভুক্ত বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের উপকূলীয় এলাকায় দু-একটির যৎসামান্য অস্তিত্ব রয়েছে। সেগুলো সংগ্রহ করেই ২০১৪ সালে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে গবেষণার কাজ করা হচ্ছে।’
কচ্ছপের পিঠে লাগানো স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারের কার্যক্ষমতা এক বছরের বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘প্রথম বছরেই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। এরপর এমনিতেই এটি খসে পড়ে যায়। আমাদের মতো ভারতও মহাবিপন্ন প্রজাতির বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপ টিকিয়ে রাখতে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগিয়ে গবেষণা কাজ শুরু করেছে
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট