ডেস্ক রিপোর্ট |
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের জরুরি অধিবেশনে পাঁচটি দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দার প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এর একটি হলো রাশিয়া নিজেই। কিন্তু বাকিরা কারা?
আশ্চর্যজনকভাবে, বেলারুশও এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। দেশটি দীর্ঘদীন ধরে রাশিয়ান মিত্র। এই ছোট দেশকে বিশ্লেষকরা মস্কোর ‘ক্লায়েন্ট স্টেট’ হিসেবে বর্ণনা করেন। কিছু রুশ সেনা বেলারুশিয়ান অঞ্চল থেকে ইউক্রেনে আক্রমণ করেছে।
নিন্দা প্রস্তাবের বিরোধিতা করা আরেকটি দেশ হলো সিরিয়া। দেশটির নেতা বাশার আল-আসাদ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় ক্ষমতায় থাকার জন্য বড় আকারের রাশিয়ান সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভর করেছিলেন।
হর্ন অব আফ্রিকার ইরিত্রিয়াও বিরোধিতা করেছে। আর এশিয়ার মধ্যে উত্তর কোরিয়া এই নিন্দা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।
তবে চীন কোনো পক্ষেই ভোট দেয়নি। দেশটি ভোটদানে বিরত ছিল। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুরূপ ভোটের সময়ও চীন বিরত ছিল।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানানোর প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৪১ দেশ। অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে সব বাহিনী প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ডাকা বিরল জরুরি এই অধিবেশনটি হয় বুধবার। ১৯৯৭ সালের পর এটি নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম জরুরি বৈঠক।
আগে থেকেই ধারনা করা হচ্ছিল এ ধরনের প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে পাস হবে না কারণ সেখানকার স্থায়ী সদস্যদেশ রাশিয়া ভেটো ক্ষমতার অধিকারী।
প্রস্তাবটি নিয়ে ভোটাভুটির আগে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত দাবি করেন, ইউক্রেন বর্তমানে যে ধরনের আগ্রাসন মোকাবিলা করছে তা প্রতিহত করার জন্যই নিরাপত্তা পরিষদ গঠন করা হয়েছিল। তবে গত দুই দশকে আমেরিকা যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আগ্রাসন চালিয়ে দখল করে নিয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানী ঘটিয়েছে সে বিষয়ের প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত কোনো ইঙ্গিত করেননি।বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার এ নিয়ে তিনবার জরুরি বৈঠকে বসল নিরাপত্তা পরিষদ। ঘটনাক্রমে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে ওই পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে রাশিয়া
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট